বেন স্টোকস এখন বোলিং করেন না। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি ফিরেই এসেছে বোলিং করবেন- এ শর্ত দিয়ে। হাসিমুখে তার শর্ত মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক জস বাটলার এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণে তাকে এখন আর অলরাউন্ডারও বলা যাবে না।কিন্তু শুধুমাত্র ব্যাটার স্টোকসও যে কতটা বিধ্বংসী তা হাড়ে হাড়ে টের পেলো নিউজিল্যান্ড। লন্ডনের দ্য ওভালে বুধবার রাতে রীতিমত ঝড় তুলেছেন তিনি। ১২৪ বলে ১৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে স্রেফ উড়ে গেলো নিউজিল্যান্ড।
স্টোকস যে ক’টি রান করলেন প্রায় সে ক’টি রানের ব্যবধানেই নিউজিল্যান্ডকে তৃতীয় ওয়ানডেতে হারালো ইংলিশরা। স্বাগতিকদের করা ৩৬৮ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড ৩৯ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ১৮৭ রানে। ফলে জস বাটলারের দলের জয় এসেছে ১৮১ রানের ব্যবধানে।চার ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ খেলেই বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।বুধবার ওভালে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানো যে কতবড় ভুল ছিল, তা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। যদিও শুরুতে দুই ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারেস্ট এবং জো রুটকে তুলে নিয়ে ল্যাথার সিদ্ধান্তকেই সঠিক প্রমাণ করেছিলেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন বেয়ারেস্ট। এরপর তৃতীয় ওভারে জো রুটকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপরের গল্পটা সবারই জানা। ১৯৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন ডেভিড মালান এবং বেন স্টোকস। ৪ রানের আক্ষেপ মালানের। সেঞ্চুরি করতে পারলেন না। আউট হয়ে গেলেন ৯৬ রানে, ৯৫ বল খেলে। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছক্কার মার।
মালান আউট হওয়ার পর অধিনায়ক বাটলারকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন স্টোকস। ২৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান বাটলার। দলীয় ৩৪৮ রানের মাথায় ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে, ১৮২ রান করে আউট হন স্টোকস। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার মারেন তিনি।শেষ দিকে এসে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৪৮.১ ওভারেই অলআউট ইংল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট নেন ৫ উইকেট। ৩টি নেন বেন লিস্টার। ১টি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ফিলিপস।জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড। মিডল অর্ডারে একাই লড়াই করেন গ্লেন ফিলিপস। ৭৬ বলে ৭২ রান করে আউট হন তিনি। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন রানি রবিন্দ্র। ১৭ রান করেন ড্যারিল মিচেল। শেষ পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।৩টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। রিসি টপলি ২টি উইকেট নেন, ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান এবং মঈন আলি।