Homeখেলাধুলাওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড জয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড জয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানটা যথেষ্টই মনে হয়েছিল প্রথম ইনিংসের পর। উগান্ডার ব্যাটিংয়ের পর সেটি তো প্রমাণিত হয়েছেই, বরং বড় জয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকার স্বস্তি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে তারা গড়েছে অনেকগুলো রেকর্ডও।রোববার প্রভিডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘সি’ এর ম্যাচে ১৩৪ রানে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে স্বাগতিকরা। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে ১২ ওভারে স্রেফ ৩৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে উগান্ডা।

এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় বড় জয়। প্রথমে আছে ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ১৭২ রানের জয়টি।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলটির হয়ে ৮ বলে ১৩ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রমজানি। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তিন নম্বরে খেলতে নামা নিকোলাস পুরান ফেরেন ব্রায়ান মাসাবার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে। কোনো ব্যাটারই ব্যক্তিগত সংগ্রহ বড় করতে না পারলেও ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে ক্যারিবীয়রা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার জনাথন চার্লসের ব্যাটে।৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৪৪ রান করে নাকরানির বলে রমজানির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ১৬ বলে ২২ রান করা অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে মাসাবা। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস টেনে নেন শারফেন রেদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেল।২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২২ রান করে কায়েটার বলে বোল্ড হয়ে যান রাদারফোর্ড। শেষদিকে গিয়ে ঝড় তোলা আন্দ্রে রাসেল ৬ চারে ১৭ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। উগান্ডার হয়ে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ব্রায়ান মাসাবা।রান তাড়ায় নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি উগান্ডা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটির একজন ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছেন ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আগের ম্যাচেই পাপুয়া নিউগিনিকে হারানো দলটি শীর্ষস্তরের ক্রিকেটের নির্মম বাস্তবতাই বুঝতে পারে যেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে সামলে উঠতে পারেনি উগান্ডা। ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে একাই পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই প্রথম ফাইফার আকিলের, সেটিও এলো বিশ্বকাপের মঞ্চে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ক্যারিবীয় বোলারেরও এটি প্রথম ফাইফার।উগান্ডার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ৯ নম্বরে নামা জুমা মিউয়াগি। ২০ বল খেলে অপরাজিত ১৩ রান করেন তিনি। তবে তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড এড়াতে পারেনি উগান্ডা। আকিলের বাইরে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। গুদাকেশ মোতি, রাসেল ও রোমারিও শেফার্ড পান একটি করে উইকেট।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments