রাঙ্গামাটিতে গত এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে অন্তত ৮০ জন মানুষ। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কুকুরের জলাতঙ্কের গণটিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে রাজধানী থেকে অভয়ারণ্য বাংলাদেশ প্রাণিকল্যাণ সংস্থার ছয় জনের একটি দল বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে টিকাদানের কাজ করছেন।শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ৩০০ জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সিভিল সার্জনের হাতে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অভয়ারণ্য এই কর্মসূচি শুরু করে। এরপর দুপুর থেকে রাঙ্গামাটির হ্যাপি মোড় থেকে শুরু করে বনরুপা বাজার পর্যন্ত ৩০টি কুকুরকে জলাতঙ্কের টিকা দিয়েছে অভয়ারণ্যের দলটি।রোববার থেকে রাঙ্গামাটি শহর এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিদিন টিকা দেবেন তারা। এ পর্যায়ে অন্তত ৫০০টি কুকুরের টিকা দিতে চায় টিম অভয়ারণ্য।এ ব্যপারে অভয়ারণ্যের নির্বাহী পরিচালক কাওসার শাকিল বলেন, যে কোনো দুর্যোগের পর জলাতঙ্কের ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা এখন গোটা দেশব্যাপী। জলাতঙ্ক এমনিতেই অবহেলিত একটি ইস্যু। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম মোটামুটি স্থগিত হয়েই আছে। আশা করি খুব অচিরেই এই অবস্থার অবসান ঘটবে।টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, সকালে আমাদের টিম এখানে পৌঁছানোর পর আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিং হয়েছে যেখানে তার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের কর্ম পরিকল্পনা গুছিয়ে এনেছি আমরা। ধরণের প্রশাসনিক উৎসাহ এবং সহযোগিতা পেলে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
রাঙ্গামাটিতে জলাতঙ্কের গণটিকাদান কর্মসূচি
RELATED ARTICLES