আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল রুখে দিতে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শনিবার রাত থেকেই তারা এখানে জড়ো হচ্ছেন। সকালেও তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।শহীদ নূর হোসেন স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে বিকেলে জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিপরীতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে একই জায়গায় গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।রোববার সকালে দেখা যায়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে অবস্থান নেন ছাত্ররা। পাশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে সাঁজোয়া যান ও জলকামানের গাড়ি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমন অবস্থায় রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগ জানায়, রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।এর বিপরীতে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ রোববার দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করবে তারা।
এদিকে আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়ার সুযোগ নেই।তিনি আরও লেখেন, আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে যে কেউ র্যালি, সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণ শক্তির মুখোমুখি হবে।অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।