Homeআন্তর্জাতিকপ্রথম দিনেই অভিবাসীদের ওপর কঠোর হবেন ট্রাম্প

প্রথম দিনেই অভিবাসীদের ওপর কঠোর হবেন ট্রাম্প

আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই অভিবাসীদের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন এই রিপাবলিকান নেতা।হোয়াইট হাউজে পা রেখেই তিনি কয়েকটি নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন। অভিবাসীদের দেশত্যাগ, সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ এবং বাইডেনের কিছু মানবিক কর্মসূচির কার্যক্রম বাতিল করতে পারেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং অভিবাসীদের বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা বাতিল হতে পারে। অভিবাসী বিরোধী কট্টোর শাসক হিসেবে বেশ পরিচিত টম হোমান এবং অন্যান্য রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসী সমস্যা সমাধান করা। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন যে, ক্ষমতা গ্রহণের দিনই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবৈধ অভিবাসী বিদায় অপারেশন পরিচালনা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সাবেক পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিচ্ছেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেছেন, আমি আইসিই’র সাবেক পরিচালক ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত শক্তিশালী অদম্য ব্যক্তি টম হোমানকে আমাদের জাতীয় সীমান্তের দায়িত্ব দিতে পেরে আনন্দিত।হোমানকে সীমান্ত সম্রাট (বর্ডার জার) নামে অভিহিত করেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্সির পরিচালক হিসেবে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন হোমান।

ওবামা প্রশাসনেও তিনি আইসের নির্বাহী সহযোগী পরিচালক ছিলেন। ট্রাম্প বলেন, আমি টমকে অনেকদিন ধরে চিনি। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে রাখায় তারচেয়ে ভালো কেউ নেই। ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্বে থাকবেন হোমান।ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছাড়াই কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন সেনার সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং এই সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কাজ আবার শুরু হবে।প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানবিক কর্মসূচিরও সমাপ্তি ঘটাবেন ট্রাম্প। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে কয়েক হাজার অভিবাসীকে বৈধভাবে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন। কিন্তু যাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে উত্সাহিত করতে পারেন ট্রাম্প।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments