ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করেছিল পাকিস্তান। পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজের ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই পাকিস্তান পাত্তাই পেলো না।সিরিজের তিন ম্যাচেই পাকিস্তানকে নাকাল করেছে অস্ট্রেলিয়া, শেষ টি-টোয়েন্টি জিতেছে ৫২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাতে ডুবলো পাকিস্তান।ব্যাটাররাই প্রতি ম্যাচে বিপদে ফেলেছেন পাকিস্তানকে। হোবার্টে এই ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছিল সফরকারীরা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুর দিকে কিছুটা চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪ বলে ২ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার ম্যাথু শর্ট। ১১ বলে ১৮ করেন আরেক ওপেনার জ্যাক ফ্রেসার- ম্যাকার্গ, তাকে আউট করেন জাহানদাদ খান।জস ইঙ্গলিশ ধরে খেলছিলেন। ২৪ বলে ২৭ রানে তিনি আব্বাস আফ্রিদিকে উইকেট দেন। তখনও কোনোমতে লড়াইয়ে টিকে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু এরপর মার্কাস স্টয়নিস সব শেষ করে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের পেস আক্রমণের দুই সেরা অস্ত্র হারিস রউফের এক ওভারে দুইটি করে ছয়-চার আর শাহিন শাহ আফ্রিদির এক ওভারে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন স্টয়নিস।২৭ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন অসি এই অলরাউন্ডার। টিম ডেভিড অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ১ ছক্কায় ৭ রানে।এর আগে অসি বোলারদের তোপে ১৮.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে সালমান আলি আগার দল।
সোমবার হোবার্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল পাকিস্তান। ৬১ রান পর্যন্ত সফরকারীদের ছিল ১ উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে অস্ট্রেলিয়ার পেসার স্পেন্সার জনসনের বলে আউট হন পাকিস্তান ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান (৭ বলে ৯)।দলীয় ৬১ রানে হাসিবুল্লাহ খান আউট পরই ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। ৯১ রানে চলে যায় ৭ উইকেট। অর্থাৎ ৩১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন উসমান খান (৪ বলে ১), সালমান আলি আগা (৯ বলে ১), ইরফান খান (৮ বলে ১০), আব্বাস আফ্রিদি (৮ বলে ১)।বাবর আজম আউট হন ২৮ বলে ৪১ রান করে। পাকিস্তান ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এটিই। ব্যাটিং ধসের মধ্যে আউট হন এই ডানহাতি।
শাহিন শাহ আফ্রিদির ১২ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ১০০ পার করে পাকিস্তান। শেষদিকে ১ রানে ৩ উইকেট হারালে ১৮.১ ওভারেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ উইকেট নেন অ্যারন হার্ডি। ২টি করে উইকেট নেন স্পেন্সার জনসন ও অ্যাডাম জাম্পা।