দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫২ রানে অলআউট করলেও প্রথম ইনিংসে যে ১৮১ রান পিছিয়ে ছিল টাইগাররা! সেই বিশাল রান পিছিয়ে থাকার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ৩৩৪ রান। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লড়াই তো দূরে থাক, ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা।স্বাগতিক বোলারদের মোকাবিলায় একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ৫৯ রানের মাথায় হারিয়েছে ৫টি উইকেট। দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার ফলে স্বাগতিকদের কাছে বড় হারের মুখেই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষ বল পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১০৯ রান করেছে সফরকারীরা।উইকেটে আছেন জাকের আলী (১৫) ও হাসান মাহমুদ (০)। বাংলাদেশ এখনো ২২৫ রানে পিছিয়ে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির হাসান। দলীয় ৭ রানের মাথায় বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। জাইডেন সিলসের বলে জাস্টিন গ্রিভসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।মুমিনুল হক এবং শাহাদাত হোসেন দিপু জুটি বাধার চেষ্টা করেন, কিন্তু এই চেষ্টা বালির বাধের চেয়েও ঠুনকো। এক ধাক্কায় ভেঙে গেলো। ২২ বল খেলে ৪ রান করে আউট হয়ে যান দিপু। অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ধরে খেলার কথা। কিন্তু ৩৬ বলে ১১ রান করে তিনিও আউট হয়ে গেলেন কেমার রোচের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে।
লিটন দাস চেষ্টা করেছিলেন থিতু হওয়ার। কিন্তু টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে ১৮ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৩ রানের জুটি করেন। ৪৬ বলে ৪৫ রান করে সিলসের বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ক্যাচ হন মিরাজ। দিনের এক ওভার সামনে রেখে উইকেট দিয়ে আসেন তাইজুল ইসলাম (৯ বলে ৪)।এর আগে সোমবার দিনের শুরুতে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামার কথা থাকলেও বাংলাদেশ আর ব্যাট করতে নামেনি। ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে ১৮১ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তাসকিনের তোপের সামনে ১৫২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৬ উইকেট নেন তাসকিন।