এস এম আলম, ৫ জানুয়ারি: পাবনা প্রেসক্লাবের সম্মানিত আজীবন সদস্য ও স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দেশ বরেণ্য শিল্পপতি স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন আজীবন সংগ্রামী ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সারির যোদ্ধা। তিনি শৃংখলা বা নিয়মানুবর্তিতার কথা মুখে বলতেন না। তিনি ছিলেন পরিপুর্নভাবে একজন ডিসিপ্লিন্ড মানুষ। একজন সফল, সুখী এবং পরিপুর্ন মানুষ হিসেবে স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে। আর প্রয়ান দিবসে সবাইকে নিয়ে আমরা তার সফলতার গল্প, সততার গল্প সহ দেশপ্রেমের কথাগুলো স্মরণ করি। বক্তারা বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথ প্রর্দশক। রোববার রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে তাঁর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক মুক্তার হোসেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, অনলাইন পত্রিকা নতুন চোখ এর প্রকাশক ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি এস এম আলম সহ প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক জহুরুল ইসলাম। স্মরণ সভার শুরুতে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার কাশীয়ানী থানার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। স্যামসন এইচ চৌধুরী ভারতে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার বাবা ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ছিলেন একটি ফার্মেসীর মেডিকেল অফিসার।
