Homeআন্তর্জাতিকঅবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা অবৈধ ভারতীয়দের সামরিক উড়োজাহাজে করে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সি-১৭ নামক উড়োজাহাজটি তাদের নিয়ে রওনা হয়। তবে এতে ঠিক কতজন আছেন অবৈধ অভিবাসী আছে, তা জানা যায়নি। মার্কিন প্রশাসনের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ নেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ধর-পাকড় ও নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দূরবর্তী গন্তব্য এই ভারত। এখানেই তাদের একটি ফ্লাইটে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ ভারতীয়দের। তবে কতজনকে পাঠানো হয়েছে, তা জানানো হয়নি।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার বেশ ব্যয়বহুল। গত সপ্তাহে একটি ফ্লাইটে জনপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন ডলার।ক্ষমতায় আসার পরই নিজের নির্বাহী আদেশগুলো কার্যকর করতে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ও এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় সামরিক বাহিনীকে যুক্ত করেছেন তিনি।

শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেন ট্রাম্প। এবার সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করলেন অবৈধদের দেশ থেকে বের করার ক্ষেত্রে। এমনকি, অভিবাসীদের অস্থায়ী বসবাসের জন্য সামরিক তাঁবুও বানানো হয়েছে।ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো ছাড়াও আরও ৫ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন। এল পাসো, টেক্সাস, স্যান দিয়েগো ও ক্যালিফোর্নিয়ার অবৈধ অভিবাসীরা এ তালিকায় রয়েছেন। এর আগে গুয়েতেমালা, পেরু ও হন্ডুরাসে সামরিক বিমানে করে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন।এদিকে,ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববারের (২ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভে অভিবাসন নীতি সংস্কারের দাবি জানানো হয়। সেসময় সড়ক অবরোধ করে রাখেস বিক্ষোভকারীরা। এতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো যান চলাচল ব্যাহত হয় বলে জানায় পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে, সান ডিয়েগো, টেক্সাস ও ডালাসেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments