যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন চার নভোচারী। তাদের তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের ও একজন জাপানের। খবর- বিবিসি।তাদেরকে বহনকারী রকেট ও ক্যাপসুল সরবরাহ করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্পেস স্টেশনে যাওয়ার জন্য রকেট বানালো স্পেসএক্স।
নাসা জানিয়েছে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই কার্যক্রমে আওতায় লো-আর্থ অরবিটে নিয়মিত ভ্রমণ করবেন নভোচারীরা।এবারের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাত্রায় যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার ও শ্যানন ওয়াকার। আর জাপানি নভোচারির নাম সোইচি নোগুচি। সেখানে ৬ মাস অবস্থান করবেন তারা।
এই মিশনে অংশ নেয়া নোগুচি হলেন ইতিহাসের তৃতীয় ব্যক্তি যিনি তিনটি ভিন্ন ধরনের নভোযানে সওয়ার হয়েছেন।সোমবার স্থানীয় সময় ৭টা ২৭ মিনিটে এই ৫ ক্রুকে বহনকারী ফ্যালকন রকেট ও ড্রাগন ক্যাপসুল যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার ত্যাগ করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে একদিনের কিছু বেশি।স্পেস স্টেশনে তারা যোগ দেবেন নাসার মহাকাশচারী কেট রুবিন্স ও রাশিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সির সের্গেই রিঝিকভের সঙ্গে।নভোচারীদের জন্য একটি ট্যাক্সি সার্ভিস নির্মাণে স্পেস এক্স-এর সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে নাসা।
এই চুক্তির আওতায় চলতি বছরের মে মাসে নভোচারী ডৌগ হার্লি ও বব বেহনকেনকে নিয়ে প্রতীকী মিশনে যায় স্পেস এক্স। এই দুজনকে সফলভাবে স্পেস স্টেশনে নিয়ে আবার নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয় পৃথিবীতে।উল্লেখ্য, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে নাসার।নাসা বলছে, তাদের চুক্তির এই নতুন ধরণ যথেষ্ট ব্যয় সাশ্রয়ী।
চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানের জন্য একই পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে নাসা। ফলে, ২০২৪ সালের দিকে পুনরায় নাসার চন্দ্রাভিযানের প্রকল্প অনেকটাই সহজতর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।