ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের বৈধতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার তারা এই বৈধতা দেয়। বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা প্রাপ্তি ও সরবরাহ সহজ করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।ডব্লিউএইচও’র বরাতে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছর চীন থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির প্রস্তুতকৃত ফাইজার/বায়োএনটেক ভ্যাকসিন প্রথম তাদের বৈধতা পেল।
ডব্লিউএইচও’র শীর্ষ মুখপাত্র মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার পথে এটি খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে আমি গুরুত্বের সঙ্গে বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহের জন্য আরো বৃহৎ বৈশ্বিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
এছাড়া বিশ্বের যেসব দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োজন তাদের জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহে ইউনিসেফ ও পান-আমেরিকান হেলথ অর্গাইনেশনকে সক্ষম করে তোলা হবে বলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে।এর আগে ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে প্রথম ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। দেশটিতে প্রথম ভ্যাকসিন নেন ৯০ বছর বয়সী মার্গারেট কেনান। তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এনিস্কিলেন শহরের বাসিন্দা।
ওই সময় যুক্তরাজ্যের প্রায় ৭০টি হাসপাতালে টিকা কর্মসূচির আওতায় করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীদেরকেই প্রথম সারিতে টিকা দেয়া হয়।এরপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন পায়। এরপর তারা এই টকিার প্রয়োগও শুরু করে।