ভারতে করোনাভাইরাসের টিকাকরণের ড্রাই রান শুরু হচ্ছে আজ। ইতোমধ্যে টিকাকরণের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সাজিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও টিকাকরণের ড্রাই রান আজ শুরু হতে চলেছে।
টিকাকরণের কাজ চালাতে গিয়ে কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কি না, টিকাকরণের গতি বাড়াতে গেলে আরও কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তুলতেই ড্রাই রানের আয়োজন করেছে ভারত।
ভারতের ন্যাশনাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডা. বিনোদ পাল জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে। কোভিড টিকাকরণের জন্য সরকার, ইন্ডাস্ট্রি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারকে সঙ্গে মিলে একটি যৌথ টিম হিসেবে কাজ করছে।
তিনি জানান, সারা ভারতে ৩১টি বড় স্টক হাব হবে। সেখান থেকে রাজ্যের ২৯ হাজার ভ্যাকসিনেশন পয়েন্টে কোভিডের টিকা সরবরাহ করা হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা সম্মুখযোদ্ধা, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কীভাবে টিকার ইকজেকশন দেয়া হবে। টিকা দেবেন যারা তাদের সে বিষয়ে জ্ঞান কতটা, যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে চটজলদি কী ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদির মহড়া চালানো হবে। পেশা-বয়স ইত্যাদির ভিত্তিতে গুরুত্ব বুঝে চারটি ক্যাটেগরি করা হয়েছে।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই এই ভ্যাকসিন রাজ্যে-রাজ্যে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলবে কেন্দ্র সরকার।