এস এম আলম, ২২ জানুয়ারি: পাবনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কবি বন্দে আলী মিয়া স্মরণ সন্ধ্যা ।শুক্রবার পাবনা বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রে ধ্রুব রুদ্র কন্সট্রাকশন লিঃ এর পৃষ্ঠপোষকতায় বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্র এবং কবি বন্দে আলী মিয়া স্মরণ পরিষদ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে। স্মরণ সন্ধ্যায় কবি বন্দে আলী মিয়া স্মরণে কবিতা , সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের সাধারন স¤পাদক ড মোঃ হাবিবুলাহ , বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের যুগ্ম স¤পাদক(সাংস্কৃতিক) প্রলয় চাকী সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্র এর সদস্যবৃন্দ। কবি বন্দে আলী মিয়া ১৯০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পাবনা জেলার রাধানগরে জন্মগ্রহণ করেন। বহুমুখী প্রতিভা ছিল তার। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর ছিলেন। তিনি এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জজকোর্টে চাকরি করতেন। বন্দে আলী মিয়া ১৯২৩ সালে পাবনার মজুমদার একাডেমি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর কলকাতা আর্ট একাডেমিতে ভর্তি হন এবং প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার প্রায় ২০০ গ্রন্থ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ময়নামতির চর, অনুরাগ, পদ্মানদীর চর, মধুমতির চর, ধরিত্রী, অরণ্য, গোধূলী, ঝড়ের সংকেত। শিশুতোষ গ্রন্থ : চোর জামাই, মেঘকুমারী, মৃগপরী, বোকা জামাই, কামাল আতাতুর্ক, ছোটদের নজরুল। শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য- অবদানের জন্য ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, ১৯৬৭ সালে প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে রাজশাহীর উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক পান। তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৭ জুন ১৯৭৯ সালে এই প্রতিভাবান পবানার অন্যতম কৃতি সন্তান ইন্তেকাল করেন।
পাবনা বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রে “কবি বন্দে আলী মিয়া স্মরণ সন্ধ্যা” অনুষ্ঠিত
RELATED ARTICLES